Wednesday , September 20 2023
Breaking News

কাঁচা কলার নানা উপকারিতা

কাঁচা কলা অসাধারণ সব পুষ্টিগুণে ভরপর একটি সবজি। একাধিক নিরীক্ষায় দেখা গেছে যে, শুধু পেট খারাপের মতে রোগের প্রকোপ কমাতে নয়, এর আরও বেশ কিছু জটিল রোগের চিকিৎসাতেও কাঁচা কলার কোন বিকল্প পথ্য নেই। কাঁচা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এবং আরও নানা প্রকার ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। যা মানব দেহের জন্য দারুন উপকারি। এক নজরে কাঁচা কলার উপকারিতা:

১। রোগ প্রতিরোধ করে বেশ কিছু নিরীক্ষাতে প্রমাণিত যে, কাঁচা কলা খাওয়া শুরু করলে দেহের অভ্যন্তরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে, ফলে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিন উপাদানের মাত্রা যেমন কমে যায়, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়। আর যদি একবারর ইমিউন সিস্টেমের শক্তি বৃদ্ধি পায়, তবে ছোট-বড় যেকোন প্রকার রোগ শরীরের ধারের কাছে ঘেঁষতে পারে না।

(২) রেজিস্টেন্স স্টার্টের ঘাটতি কমায়:

ছোট-বড় সকল প্রকার রোগ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন যে পুষ্টিকর উপাদানগুলোর প্রয়োজন হয়, রেজিস্টেন্স স্টার্ট তার মধ্যে হলো অন্যতম। তাই শরীরের যাতে এই উপাদানটির ঘাটতি কখনো না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা উচিৎ। এই কাজটিকে সহায়তা করে থাকে কাঁচা কলা। শরীরের এই উপাদানটি ঘাটতি মেটানোর জন্য কাঁচা কলার জুড়ি মেলা ভার। যদি সুস্থ্য শরীরর চান তবে আজ হতে কাঁচা কলা খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৩। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ:কাঁচা কলায় উপস্থিত রেজিস্টেন্স স্টার্চ হজম হতে সময় লাগে। ফলে অনেকক্ষণ ক্ষিধে পায় না। আর ক্ষিদে পেলে খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ অনেক কম ঘটে। আর যদি এমনটি দীর্ঘদিন হতে থাকে তবে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই নিয়মিত কাঁচা কলার তরকারি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

(৪) খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমায়: কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার, যা রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে থাকে। সেই সাথে আর্টারির কর্মক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে না, তেমনি নানা প্রকার রোগ ব্যধি হতে দূরে থাকা যায়। কেনানা খারাপ কোলেস্টেরল মানব শরীরের জন্য খুবই খারাপ।

৫। পেটের রোগের প্রকোপ কমায়: কাঁচা কলার ফাইবার শরীরে প্রবেশ করে হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। এর পাশাপাশি ডাইডেস্টিভ ট্র্যাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং বাওয়ায়েল মুভমেন্টর উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই কাঁচা কলা শুধু পেট খারাপই নয়, যারা প্রায়ই গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভূগে থাকেন, তারা কাঁচা কলাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত অরোগ্য লাভ করতে পারেন।

(৬) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। আর সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই কাঁচা কলার ভূমিকা অপরিসীম। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়া উচিৎ। কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। আর সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই কাঁচা কলার ভূমিকা অপরিসীম। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়া উচিৎ।

৭। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:১ কাপ কাঁচা কলায় প্রায় ৬০০ এমজি পটাশিয়াম থাকে, যা পেশির গঠনের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নার্ভ ও কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। প্রঙ্গত, রক্তে যাতে কোন প্রকার ক্ষতিকর উপাদান থাকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখে কাঁচা কলা। তাই শরীরকে চাঙ্গা করতে যেকোন সময়েই কাঁচা কলা খাওয়া যেতে পারে। সেই সাথে কাঁচা কলা শরীরের নানা প্রকার রোগব্যধি প্রতিরোধ করে থাকে।

(৮) পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে: মানব শরীরের জন্য যতগুলো পুষ্টি উপদান প্রয়োজন তার প্রায় সবগুলোই বিদ্যমান আছে কাঁচা কলায়। তাই এই সবজিটি নিয়মিত খেলে প্রায় সকল পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে। আর এমনিট হলে শরীরের কর্মক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

মানব শরীরের জন্য যতগুলো পুষ্টি উপদান প্রয়োজন তার প্রায় সবগুলোই বিদ্যমান আছে কাঁচা কলায়। তাই এই সবজিটি নিয়মিত খেলে প্রায় সকল পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে। আর এমনিট হলে শরীরের কর্মক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

About admin

Check Also

আসুন জেনে নেই আদার অজানা উপকার

এমন একটি উদ্ভিদ মূল যা মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আবার মশলা জাতীয় ফসলের মধ্যেও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *